কক্সবাজার সদর উপজেলার ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন রাজঘাট বনবিট ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে অবশেষে উজাড় হওয়ার পথে। বিট কর্মকর্তার যোগ সাজশে উক্ত বনবিটের খোদ অফিসের চতুর্দিকে দখলে নিয়েছে ভূমিদস্যুরা। সরেজমিনে দেখা যায়, ঐখানকার হেডম্যান কিংবা ভিলেজারেরা “সরকারী মাল দরিয়া মে ঢাল” এ বচনকে সামনে রেখে যে যা পারে তাই দখলে নিয়ে বিক্রি করে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেখা যায়, ঐ এলাকার মৃত আবু বক্কর হেডম্যানের ২ স্ত্রীর ছেলেমেয়েরা প্রায় ১০ একর জায়গা দখল করে দালান কোটা নির্মাণ করেছে। এদিকে ঐ হেডম্যান পুত্র মোস্তফা কামাল নিজেই দখল করে আরো ১০ একর মত জায়গা খুঁটি ও কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে জবর দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলতে চাইলে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে বশে আনার চেষ্টা করে অনেকটা সফলও হয়েছে। এছাড়া খোদ রাজঘাট বনবিটের একশ গজের ভিতরেই গুরানি নামের এক বিতর্কিত মহিলাকে জায়গা দিয়ে আগলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের দাবী, ঐ গুরানি ইতিপূর্বে দখলকৃত জায়গার পশ্চিম পাশের্^র আরেকটি দালানঘরসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয়। সচেতন মহল আরো জানান, বদলী হওয়া বিট কর্মকর্তা প্রায় ৩ বার পাশর্^বর্তী জামে মসজিদটি ভেঙ্গে দিয়েছিল। বনবিভাগের জায়গায় মসজিদ স্থাপন যদি অবৈধ হয়, তাহলে বিতর্কিত ঐ গুরানির জায়গাটি বৈধ কিনা? গুরানি ঐ জায়গাটি পাহাড় কেটে পুরো দখলে নিচ্ছে। এছাড়া আবু বক্কর হেডম্যানের পুত্র মাস্টার মোস্তফা কামাল বিশালাকার পাহাড় দখল করে কাটাতার দিয়ে ঘেরা করলেও বিট কর্মকর্তা দেখেও না দেখার ভান করে বশে রয়েছে। সময়ের ব্যবধানে পুরো রাজঘাট বিটের অফিসের মুরা উজাড়ের পথে। অভিযোগ উঠা গুরানির সাথে কথা হলে সে জানায়, অফিসের খাবার রান্না করার সুবাদে এবং পূর্বের বিট অফিসের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় তাকে এ জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। অপর অভিযোগ উঠা মাস্টার মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, ঐ জায়গাটি বনবিভাগ তার পিতাকে বরাদ্দ দিয়েছে। সে অপরাপর ভাইদের উপস্থিতিতে শুধু ঘেরা দিয়ে দখল করে নিয়েছে। নবাগত বিট কর্মকতর্ৃার সাথে মোবাইলে এ বিষয়ে জানার বারবার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়দের দাবী, আগামী দুয়েক বছরের মধ্যে রাজঘাটের অফিসটাও ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাবে।
পাঠকের মতামত: